পেকুয়ায় এক মহিলা চক্রের ফাঁদে নকল স্বর্ণেরবার উদ্ধার ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৯সেপ্টম্বর শুক্রবার উপজেলার প্রধান বিপনীকেন্দ্র আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের বাঁশঘাটা নামক এলাকায়। ঘটনার বিবরনে জানা গেছে যে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র বেলাল উদ্দিনকে মুঠোফোন পরিচয় সুত্রে মহেশখালী এলাকার মোবাশে^রা নামের সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের এক মহিলা স্বর্নের বার বিক্রির ফাদে আটকায়। ওই মহিলার কাছে ২ কেরেট ওজনের কয়েকটি স্বর্নেরবার রয়েছে জানিয়ে সস্তায় বিক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। বেলাল ওই প্রস্তাবে সায় দিয়ে স্বর্ণের বারগুলি পেকুয়ায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবমতে ঘটনারদিন মোবাশে^রা বেগমের নেতৃত্বে ৪/৫জনের একদল মহিলা স্বর্ণের রংছঙা পিতলের একটি ২০ কেরেট ওজন লেখা বার নিয়ে পেকুয়া বাজারের বাঁশঘাটা এলাকায় আসে। পরে, দু’পক্ষ সাক্ষাতে দেখানো স্বর্ণবারগুলো নিয়ে বেলালের সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি’র নির্দেশে থানার এ.এস.আই মোঃ নাজির হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় অতর্কিতে পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে মোবাশে^রা বেগমের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ মহিলা প্রতারকচক্র সু’কৌশলে দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গেলে বেলালের জিম্মায় থাকা ২০কেরেট ওজনের পিতলের নকল স্বর্নবারটি হেফাজতে নেন ও ধাওয়া দিয়ে প্রতারক চক্রের একমহিলাকে আটক করে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে তল্লাসী চালানোকালে ওই মহিলা পরিস্থিতির শিকার ও অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানান। একপর্যায়ে উপস্থিত লোকজনের সম্মতি ও অভিযোগকারীর অনুরোধের মুখে আটক মহিলার অসহায়ত্বের কথা বিবেচনায় নিয়ে মানবিক মূল্যবোধে মহিলাটির কাছে কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, ছাড়া পাওয়া মহিলার শালীনতাহানির নাটকীয় গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় আঁধাখালী এলাকার মৃত এমদাদ মিয়ারপুত্র থানা ও প্রশাসনের চিহ্নিত দালাল ও ধান্ধাবাজ হিসাবে পরিচিত শহিদুল ইসলাম হিরু নামের একব্যক্তি নিজেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয়ে অভিযান পরিচালনাকারী সাব ইনস্পেক্টরের কাছে মোটাংকের চাঁদা দাবী চাহিদা না মেটালে এ. এস. আই মোঃ নাজির হোসনের বিরুদ্ধে কতিথ মহিলাকে দিয়ে ও.সি ইউএনও’র কাছে অভিযোগ ও পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার কথা জানায়। সর্বশেষ এ.এস.আই নাজির কতিথ মানবাধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক নেতার দাবী চাহিদা পুরনে অপারগতা জানালে ধান্ধাবাজ শহিদুল ইসলাম হিরু স্থানীয় সম্মানিত সংবাদকর্মী ভাইদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা লংঘন অমান্যের দৃষ্টতায় অভিযুক্ত দারোগা ও অফিসার ইনচার্জ(ওসি)র’ মন্তব্য বক্তব্য ছাড়াই একতরফা ও পক্ষপাতদূষ্ট সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ প্রচার করিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আশ্রয় গ্রহনে বিপাকের মুখোমুখী হয়েছে পুলিশ। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বা তার উর্ধ্বতন অফিসারের মন্তব্য না নিয়ে দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যতম অংশ হিসাবে পরিচিত পুলিশ সংশ্লিষ্টদের জড়িয়ে একতরফা,মনগড়া, পক্ষপাতদূষ্ট সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও দূঃখজনক মন্তব্য করে এধরনের সংবাদ রিপোটিং থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনিতভাবে অনুরোধ জানান।
বিরোধের আগুনে পুড়লো এক অসহায় মহিলার বসতঘর
পেকুয়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফা দফায় সংঘর্ষ আহত ৫
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :::
পেকুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটছে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৭ টায় পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদূর্শীসূত্রে জ্নান মসজিদের নির্ধারনকৃত ধান আদায় নিয়ে মাতবর পাড়ার মৃত সোলমানের পুত্র আবু ছিদ্দিক ও একই এলাকার মৃত: ফয়েজের পুত্র আমজাত হোসেনের মধ্যে এ ঘটনা হয়। প্রথম বারেই আমজাদ গং ও ছিদ্দিক গং এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে যায়। এসময় এক পক্ষের আবু ছিদ্দিক ও অপর পক্ষের মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র রিফাত হোসেন আহত হয়। স্থানীয় ও পুলিশ আহতদের কে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন হাসপাতালে দেখতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারো হামলার ঘটনা হয়। এ সময় আবু ছিদ্দিক গং এর পক্ষে মোরশেদ ও আছুর পুত্র জাহাঙ্গীর আলমকে আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশীদ খাঁন ও পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়ার নেতৃত্বে সঙ্গী ফোর্স এসে হাসপাতাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজনকে ধাওয়া দিয়ে দৌড়ায় দেয়। এসময় ঐ বিরোধের জের ধরে কে বা কাহারা রাতের আধারে মদন আহমদ প্রকাশ মদন্যা পাগলার মাথা ঘুচাঁর ঠাইটু জ্বালিয়ে দেয়। পরে প্রতিবেশী লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে চেষ্টা করে ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস দমল কল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন এ ব্যাপারে কেউ এখনো অভিযোগ দেয় নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
###############
পেকুয়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণলংকারসহ মূল্যবান কাগজপত্র লুট-আহত-২
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:
পেকুয়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণলংকারসহ মূল্যবান কাগজপত্র লুট করার ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালী এলাকার সাবেক এমইউপি আবুল কালামের বসতবাড়িতে ডাকাতদল হানা দেয়। ঘরের কর্তা পুতু জানায় ঘরের ছাদের সিড়ির দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের লোকজনকে মারধর করে এবং ডাকাতরা অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে বাড়ির লোকজনকে রশি দিয়ে বেধে রেখে তিন ভরি স্বর্ণ, নগদ ৫০ হাজার টাকা, তিনটি মূল্যবান মোবাইল সেট, এইচ পু বুক ১টি যার মূল্য ৬৫ হাজার, এল এ ইডি টিভি যার মূল্য ৩৪ হাজার টাকাসহ আরো মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সে আরো জানায় আমার বাবা পবিত্র হজ্ব পালন করার জন্য সৌদি আরব গমন করেন এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডাকাতরা এ ঘটনা ঘটায়। তিনি আরো জানান ডাকাতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আমার এলাকার পরিচিত যুবক। এদিকে ডাকাত আসার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা ফাকাগুলি বর্ষণ করে ঘরের কর্তা তাওহিদুল ইসলাম প্রকাশ পুতু, মেম্বার আবু কালামের স্ত্রী রানু আরা বেগম কে আহত করে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুতু বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া জানিয়েছেন এ বিষয়ে কেউ আমাকে এখনো জানায়নি।
####################
আজ ১১ টায় নামাজে জানাযা
চকরিয়ায় জিপ ও মটর সাইকেল মুখামুখি সংঘর্ষে পেকুয়ার যুবদল নেতা নিহত, আহত-১
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া ::
চকরিয়ায় জিপ ও মটর সাইকেল এর মুখামুখি সংঘর্ষে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা বর্তমান উপজেলা যুবদল নেতা ঠিকাদার শহিদুল করিম ছুট্টু(৩৭) নিহত হয়েছে। এ সময় আরেক যুবদল নেতা মো: জিগার গুরুতর আহত হয়। নিহত ছুট্টু সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মৃত আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন সিকদারের কনিষ্ট পুত্র ও আহত জিগার একই এলাকার মৃত নুর আহমদের পুত্র। বর্তমানে মূমর্ষ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে রয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় চকরিয়াস্থ ইলিশিয়া ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় তার পারিবারিক কবরস্থানে নামাজে জানাযা অনুষ্টিত হবে। চকরিয়া থানা পুলিশ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার আবু তালেবের মালিকানাধীন ঘাতক জিপ ও চালক সদর ইউনিয়ন এর মিয়া পাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের পুত্র মো: দিদারকে আটক করেছে।
শহিদুল করিম ছুট্টু নিহত হওয়ার পর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার সাথে সাথে শোকাহত এলাকাবাসীরা বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় তার নিজ বাড়িতেও শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভারি হয়ে যায় পুরো এলাকা। তার অবুঝ তিন সন্তানের চোঁখে পানি দেখা গেছে। তাদের পিতা আর নাই একথা বুঝতে না পারলেও হয়তোবা এলাকাবাসীর কান্নায় তাদের চোঁখেও পানি চলে এসেছে।
এদিকে তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাফায়েত আজিজ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রোবেল, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট, সহ-সভাপতি এ্যাড: জাহেদুল ইসলাম, উপকূলীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, সহ-সভাপতি মো: ফারুক ও উপকূলীয় সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এস.এম এরশাদ।
#############
পেকুয়ায় নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার!
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:
পেকুয়ায় নকল স্বর্ণের বার জব্দ করেছে পুলিশ। ৯ সেপ্টম্বর দুপুর আড়াইটার সময় পেকুয়া কবির আহমদ চৌধূরী বাজারের বাঁশঘাটা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মহিলা প্রতারক চক্রের ফেলে যাওয়া এ নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। থানা সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ৪০ বছর বয়সী মোকারমা নামের এক মহিলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার মোস্তাফিজু রহমানের পুত্র বেলাল উদ্দিনের কাছে স্বর্ণের বার বিক্রির প্রতারণা ফাঁদে আটকায়। প্রতারক মোকারমার নেতৃত্বে ৪/৫জনের একদল সংঘবদ্ধ মহিলা প্রতারক সহজ সরল বেলাল উদ্দিনকে স্বর্ণের বার কেনার ফাঁদে ফেলে পেকুয়া বাজারের বাঁশঘাটা এলাকায় নিয়ে আসে। এসময় মহিলা প্রতারকচক্র বেলালকে একটি পিতলের উপর স্বর্ণের রং করা একটি বার দেখিয়ে বিকিকিনীর চেষ্টা চালায়। এসময় বারটি স্বর্ণের না প্রতারণার ফাঁদের সন্দেহ দেখা দিলে কৌশলে ক্রেতা বেলাল বিষয়টি পেকুয়া থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি’র নির্দ্দেশে এ.এস.আই মোঃ নাজির একদল মহিলা পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোকারমার নেতৃত্বাধীন প্রতারক মহিলা চক্রের লোকজন পালিয়ে গেলে পুলিশ সেখান থেকে পিতলের উপর স্বর্ণের রং মিশ্রিত একটি চকচকে বার উদ্ধার ও জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। পরে, মহিলা প্রতারক চক্র ও তাদের লোকজন পুলিশ তাদের স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নিয়েছে এবং শালীনতাহানি করার গুজবে পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে ফাঁয়দা হাশিলের পাঁয়তারায় মাতেন বলে এ এস আই মোঃ নাজির হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা গর্হিত কাজ বলে মন্তব্য করেন।
#########
পেকুয়ায় চোরাই গরু ও ছাগলসহ চোর আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া ::
পেকুয়া থানা পুলিশ ও টইটং ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে উত্তর ঝুম পাড়া এলাকার মৃত নুরুল কাদের এর পুত্র হেলাল উদ্দিন এর বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত একটি গরু ও একটি ছাগল উদ্ধার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দরা তার বসতবাড়ির ভিতর চোরাই গরুর মজুদ আছে মর্মে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান চালায়। এ সময় অভিযান চালিয়ে হেলাল উদ্দিন এর ভাই দুলালসহ এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
পেকুয়া থানার এসআই টিবলু চোরাইকৃত একটি গরু ও একটি ছাগল হেলাল উদ্দিন এর বসতবাড়ির ভিতর থেকে আটক করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমরা একদল পুলিশ হেলাল উদ্দিনের বসতবাড়ির ভিতর থেকে গরু ও ছাগল উদ্ধার করি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলাল উদ্দিন এর ভাই দুলাল ও স্থানীয় এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। সংশিষ্ট আইনে এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি চোর সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে অসহায় জনগনের শেষ সম্বল গরু মহিষ ও ছাগল চুরি অব্যাহত রেখেছে। চুরিকৃত পশু রাখার জন্য তার বসতবাড়ির ভিতরে একটি সুরক্ষিত ঘর করা হয়েছে। এ ঘটনা স্থানীয়রা আমাকে অবগত করলে আমি তাৎক্ষনিক স্থানীয় এমইউপি কাশেম ও চকিদারদের নজরে রাখার অনুরোধ করলে আজ(৯ সেপ্টেম্বর) তাৎক্ষনিক পুলিশসহ আমরা অভিযান চালিয়ে সুরক্ষিত ঘর থেকে একটি গরু ও একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তার ভাই দুলাল ও কথিত বদ্যর স্ত্রীকে। গরুটির মালিক বাশঁখালী উপজেলার পুইছড়ি এলাকার মোস্তাক আহমদের বলে জানতে পারলেও ছাগলটির মালিক এখনো সনাক্ত হয়নি।
###################
পেকুয়ায় হত্যা মামলা থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীকে প্রাণ নাশের হুমকী
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া ::::
পেকুয়ায় হত্যা মামলার আসামী থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীকে প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে বাদী পক্ষের লোকজন। এছাড়া বাদি পক্ষের লোকজন আসামী গনের বাড়িতে হামলাসহ নানান ধরনের হয়রানীর শিকার করবে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে আসামী পক্ষের লোকজন সম্ভাব্য হামলা ও হতাহতের ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে অনত্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে স্থানীয় সাজ্জাদ হোসাইন এলাকর নিজ বাড়িতে আসে। এলাকায় তার উপস্থিতির খবর পেয়ে বাদী পক্ষের লোকজন ওই শিক্ষার্থীকে প্রান নাশের পায়তারা করে আসছে। এর ধারাবাহিকায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদী পক্ষের নিলুফা জন্নাত হঠাৎ গতিরোধ করে শিক্ষার্থী সাজ্জাদের উপর হামলা চালায় এসময় কৌসুলে সাজ্জাদ পালিয়ে প্রাণে বেচে যায়। গটনাটি সংঘঠিত হয়েছে গত ৮অক্টোবর বৃহষ্পতিবার দুপুরে । জানাযায়, কফিল উদ্দিন হত্যা মামলার সাথে কোন নসম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার চার্চসিট থেকে বাদ পড়ে ওই কলেজ পড়–য়া শিক্ষর্থী। উল্ল্যেখ্য যে, গত বছর ৬ অক্টোবর মৎস্য ঘেরের বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গুলাগুলি হয়েছিল। এ সময় উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে কফিল উদ্দিন(৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় কফিল উদ্দিনের পিতা জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে গত ৭অক্টোবর রাতে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। এতে কাইসার উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ২৯জনকে আসামি করা হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনার জের ধরে তখন থেকেই ছিরাদিয়া এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে আসছে। বাদি পক্ষ ওই দিন থেকে উদ্দ্যেশ্য মুলকভাবে আসামী পক্ষের উপর অহেতুক উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আসামী পক্ষ।
পাঠকের মতামত: